চট্টগ্রাম জেলার কোন থানা কখন গঠিত হয় এই বিষয়ে ইন্টারনেটে ছড়ানো ছিটানো তথ্য রয়েছে। চট্টগ্রামবাসীর সুবিধার্থে জেলার প্রত্যেকটি থানার প্রতিষ্ঠাকাল, আয়তন ও অবস্থান সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা দেয়া হলো।
আনোয়ারা থানা চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত একটি থানা।
আনোয়ারা থানা গঠিত হয় ১৮৭৬ সালে। আনোয়ারা উপজেলার মোট আয়তন ১৬৪.১০ বর্গ কিলোমিটার (৪০,৫৫১ একর)। চট্টগ্রাম জেলা সদর থেকে এ উপজেলার দূরত্ব ২৪ কিলোমিটার। এ উপজেলার উত্তর-পশ্চিমে কর্ণফুলী নদী ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পতেঙ্গা থানা; উত্তরে কর্ণফুলী উপজেলা ও পটিয়া উপজেলা; পূর্বে পটিয়া উপজেলা, চন্দনাইশ উপজেলা, সাঙ্গু নদী, সাতকানিয়া উপজেলা ও বাঁশখালী উপজেলা; দক্ষিণে সাঙ্গু নদী ও বাঁশখালী উপজেলা এবং পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত।
চন্দনাইশ থানা চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত একটি থানা।
১৯৭৬ সালে পটিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করে চন্দনাইশ থানার সৃষ্টি করা হয়। চন্দনাইশ উপজেলার আয়তন ২০১.৯৯ বর্গ কিলোমিটার (৪৯,৯১৩ একর)। চট্টগ্রাম জেলা সদর থেকে এ উপজেলার দূরত্ব প্রায় ৩৫ কিলোমিটার। এ উপজেলার উত্তরে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ও পটিয়া উপজেলা; পশ্চিমে পটিয়া উপজেলা, আনোয়ারা উপজেলা ও সাতকানিয়া উপজেলা; দক্ষিণে সাতকানিয়া উপজেলা এবং পূর্বে সাতকানিয়া উপজেলা ও বান্দরবান জেলার বান্দরবান সদর উপজেলা অবস্থিত।
পটিয়া থানা চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত একটি থানা।
ব্রিটিশ শাসনামলে ১৮৪৫ সালে পটিয়ায় একটি থানা প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৫৮ সালে পাকিস্তান আমলে পটিয়া মহকুমা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৮৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পটিয়া উপজেলা হিসাবে স্বীকৃতি পায়। পটিয়া উপজেলার আয়তন ৩১০.২৩ বর্গ কিলোমিটার (৭৬,৬৫৯ একর)। এ উপজেলার দক্ষিণে আনোয়ারা উপজেলা ও চন্দনাইশ উপজেলা; পূর্বে চন্দনাইশ উপজেলা ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা; উত্তরে বোয়ালখালী উপজেলা, কর্ণফুলী নদী ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের চান্দগাঁও থানা এবং পশ্চিমে কর্ণফুলী উপজেলা অবস্থিত।
ফটিকছড়ি থানা চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত একটি থানা।
১৯১৮ সালে ফটিকছড়ি থানা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৩ সালে ফটিকছড়ি থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়। ফটিকছড়ি উপজেলার মোট আয়তন ৭৭৩.৫৪ বর্গ কিলোমিটার (১,৯১,১৪৬ একর) এবং এটি আয়তনের দিক থেকে চট্টগ্রাম জেলার সবচেয়ে বড় উপজেলা। চট্টগ্রাম জেলা সদর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার উত্তরে ফটিকছড়ি উপজেলার অবস্থান। এ উপজেলার পশ্চিমে মীরসরাই উপজেলা ও সীতাকুণ্ড উপজেলা; দক্ষিণে হাটহাজারী উপজেলা; পূর্বে রাউজান উপজেলা, রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলা ও খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা, মানিকছড়ি উপজেলা ও রামগড় উপজেলা এবং উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা প্রদেশ অবস্থিত।
ভূজপুর থানা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত ফটিকছড়ি উপজেলার একটি থানা। ২০০৭ সালের ২১ শে জুলাই বাংলাদেশ পুলিশ এর আই জি নূর মোহাম্মদ ভূজপুর থানার উদ্বোধন করেন।
বাঁশখালী থানা চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত একটি থানা।
বাঁশখালী থানা গঠিত হয় ১৯১৭ সালের ১৫ জুলাই এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে। বাঁশখালী উপজেলার আয়তন ৩৭৬.৯০ বর্গ কিলোমিটার (৯৩,১৩৫ একর)। চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে বাঁশখালী উপজেলার অবস্থান। এ উপজেলার উত্তরে সাঙ্গু নদী ও আনোয়ারা উপজেলা, পূর্বে সাতকানিয়া উপজেলা ও লোহাগাড়া উপজেলা, দক্ষিণে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলা ও পেকুয়া উপজেলা এবং পশ্চিমে কুতুবদিয়া চ্যানেল, কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া উপজেলা ও বঙ্গোপসাগর অবস্থিত।
বোয়ালখালী থানা চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত একটি থানা।
ব্রিটিশ শাসনামলে ১৯১০ সালের ২৯ আগস্ট বোয়ালখালী থানা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৩ সালের ৩ জুলাই এ থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়। বোয়ালখালী উপজেলার মোট আয়তন ১২৬.৪৬ বর্গ কিলোমিটার (৩১,২৪৯ একর)। চট্টগ্রাম জেলা সদর থেকে এ উপজেলার দূরত্ব প্রায় ১২ কিলোমিটার। এ উপজেলার দক্ষিণে পটিয়া উপজেলা; পূর্বে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা; উত্তরে কর্ণফুলী নদী, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ও রাউজান উপজেলা এবং পশ্চিমে কর্ণফুলী নদী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের চান্দগাঁও থানা ও বাকলিয়া থানা অবস্থিত।
মীরসরাই থানা চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত একটি থানা।
চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই থানা ১৬টি ইউনিয়ন নিয়ে ১৯১৭ সালের ১৫ জুলাই প্রতিষ্ঠা হয়। ঐ সালের ২১ সেপ্টেম্বর গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার পর ১৯১৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মীরসরাই থানার কার্যক্রম চালু হয়। মীরসরাই থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালের ১৫ এপ্রিল তৎকালীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের শাসনামলে এবং উপজেলা কার্যক্রম শুরু হয় ঐ বছরেরই ৬ অক্টোবর। মীরসরাই উপজেলার আয়তন ৪৮২.৮৯ বর্গ কিলোমিটার (১,১৯,৩২৪ একর)।
চট্টগ্রাম জেলা সদর থেকে ৬০ কিলোমিটার উত্তরে এ উপজেলার অবস্থান। মুহুরি নদী ফেনী জেলা এবং নোয়াখালী জেলা থেকে এটিকে আলাদা করেছে। একে চট্টগ্রাম এর প্রবেশদ্বার বলা যায়। এর পূর্বে ফটিকছড়ি উপজেলা; দক্ষিণে সীতাকুণ্ড উপজেলা; পশ্চিমে সন্দ্বীপ চ্যানেল ও সন্দ্বীপ উপজেলা, নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা, ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলা এবং উত্তরে ফেনী জেলার ফেনী সদর উপজেলা, ছাগলনাইয়া উপজেলা ও ভারতের ত্রিপুরা প্রদেশ অবস্থিত।
জোরারগঞ্জ থানা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত মীরসরাই উপজেলার একটি থানা। ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রশাসনিক পুর্ণবিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির (নিকা) সভায় মীরসরাই থানাকে বিভক্ত করে জোরারগঞ্জ নামে একটি নতুন থানার অনুমোদন দেয়া হয়। ২০১৩ সালের ১৯ মে এ থানা উদ্বোধন করা হয়।
রাউজান মডেল থানা চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত একটি মডেল থানা।
১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে রাউজান থানার কার্যক্রম শুরু করা হয় এবং ১৯৮৪ সালে থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হল। ২০০০ সালে রাউজান পৌরসভা ঘোষিত হয়। রাউজান উপজেলার আয়তন ২৪৬.৫৮ বর্গ কিলোমিটার। চট্টগ্রাম জেলা সদর থেকে এ উপজেলার দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার। এ উপজেলার উত্তরে ও উত্তর-পশ্চিমে ফটিকছড়ি উপজেলা, পশ্চিমে হালদা নদী ও হাটহাজারী উপজেলা, দক্ষিণ-পশ্চিমে হালদা নদী ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের চান্দগাঁও থানা, দক্ষিণে কর্ণফুলী নদী ও বোয়ালখালী উপজেলা এবং পূর্বে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ও রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলা অবস্থিত।
রাঙ্গুনিয়া মডেল থানা চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত একটি মডেল থানা।
১৯৬২ সালের ২৪ জানুয়ারি রাউজান উপজেলার তৎকালিন ৭টি ইউনিয়ন (রাজানগর, হোসনাবাদ, রাঙ্গুনিয়া, মরিয়মনগর, পারুয়া, পোমরা ও বেতাগী) এবং পটিয়া উপজেলার তৎকালিন ৩টি ইউনিয়ন (সরফভাটা, শিলক ও পদুয়া) সর্বমোট ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে রাঙ্গুনিয়া থানা গঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালের ডিসেম্বরে স্থানীয় জনসাধারণের স্বার্থ রক্ষায় গণদাবীর প্রেক্ষিতে মরিয়মনগর ইউনিয়নকে বিভক্ত করে ১১নং চন্দ্রঘোনা কদমতলী ইউনিয়ন গঠন করা হয়। ১৯৮৩ সালে তৎকালিন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে পৃথক পৃথক উপজেলা গঠন করলে রাঙ্গুনিয়া থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলার আয়তন ৩৬১.৫৪ বর্গ কিলোমিটার (৮৯,৩৩৮ একর)। চট্টগ্রাম জেলার সর্ব-পূর্বে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার অবস্থান। এ উপজেলার দক্ষিণে চন্দনাইশ উপজেলা, দক্ষিণ-পশ্চিমে পটিয়া উপজেলা ও বোয়ালখালী উপজেলা, পশ্চিমে রাউজান উপজেলা ও রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলা, উত্তরে রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলা, পূর্বে রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলা ও রাজস্থলী উপজেলা এবং দক্ষিণ-পূর্বে বান্দরবান জেলার বান্দরবান সদর উপজেলা অবস্থিত।
লোহাগাড়া থানা চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত একটি থানা।
লোহাগাড়া এক সময় সাতকানিয়া উপজেলার অধীনে ছিল। ১৯৮১ সালে লোহাগাড়া থানা গঠিত হয় এবং ১৯৮৩ সালে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়। লোহাগাড়া উপজেলার মোট আয়তন ২৫৮.৮৮ বর্গ কিলোমিটার (৬৩,৯৭০ একর)।
চট্টগ্রাম জেলা শহর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে এ উপজেলার অবস্থান। এ উপজেলার উত্তরে সাতকানিয়া উপজেলা, পশ্চিমে বাঁশখালী উপজেলা, দক্ষিণে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলা ও বান্দরবান জেলার লামা উপজেলা এবং পূর্বে বান্দরবান জেলার লামা উপজেলা ও বান্দরবান সদর উপজেলা অবস্থিত।
সন্দ্বীপ চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত একটি থানা।
১৮৮০ সালের পূর্ব পর্যন্ত সন্দ্বীপ চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্ভুক্ত থাকলেও পরবর্তীতে একে নোয়াখালী জেলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৯৫৪ সালে আবারও চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৯৮৪ সালে সন্দ্বীপ থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়। সন্দ্বীপে একটি পৌরসভা রয়েছে, যা ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত।
পঞ্চদশ শতাব্দীতে সন্দ্বীপের আয়তন প্রায় ৬৩০ বর্গমাইলের হলেও ক্রমাগত নদী ভাঙনের কারণে বর্তমানে এটি মাত্র ৮০ বর্গমাইলের একটি ক্ষুদ্র দ্বীপে পরিণত হয়েছে। সন্দ্বীপের দৈর্ঘ্য ২৫ মাইল (৪০ কিলোমিটার) ও প্রস্থ ৩-৯ মাইল (৫-১৫ কিলোমিটার)। এই অঞ্চলে মোট আবাদ যোগ্য জমির পরিমাণ ৫৬,৫৩০ একর এবং অনাবাদী জমি ২২,৯১১ একর। মোট বনাঞ্চল ১১,২০০ একর।
সন্দ্বীপ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত একটি দ্বীপ। এটি বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বকোণে মেঘনা নদীর মোহনায় অবস্থিত। চট্টগ্রাম উপকূল ও সন্দ্বীপের মাঝখানে সন্দ্বীপ চ্যানেল অবস্থিত। চট্টগ্রাম জেলা সদর থেকে নদীপথে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে এ উপজেলার অবস্থান। সন্দ্বীপ থেকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপকূলের দূরত্ব প্রায় দশ মাইল। নোয়াখালীর মূল ভূখণ্ড সন্দ্বীপ থেকে প্রায় ১২ মাইল পশ্চিমে অবস্থিত। সন্দ্বীপের প্রায় বিশ মাইল পশ্চিমে হাতিয়া দ্বীপের অবস্থান। সন্দ্বীপের সীমানা হচ্ছে পূর্বে সন্দ্বীপ চ্যানেল ও চ্যানেলের পূর্ব পাড়ে সীতাকুণ্ড উপজেলা ও মীরসরাই উপজেলা; উত্তরে বামনী নদী; পশ্চিমে মেঘনা নদী, নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা, সুবর্ণচর উপজেলা ও হাতিয়া উপজেলা এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর।
সাতকানিয়া থানা চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত একটি থানা।
১৯১৭ সালে সাতকানিয়া থানা গঠিত হয় এবং ১৯৮৩ সালে থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়। ঐ সালেই সাতকানিয়া উপজেলা একটি স্বতন্ত্র উপজেলা হিসেবে পরিগণিত হয়। সাতকানিয়া উপজেলার আয়তন ২৮২.৪০ বর্গ কিলোমিটার। সাতকানিয়া উপজেলার উত্তরে চন্দনাইশ উপজেলা, উত্তর-পশ্চিমে আনোয়ারা উপজেলা, পশ্চিমে বাঁশখালী উপজেলা, দক্ষিণে লোহাগাড়া উপজেলা এবং পূর্বে বান্দরবান জেলার বান্দরবান সদর উপজেলা অবস্থিত । সমতল ভূমি, পাহাড় ও সাঙ্গু নদী ও ডলু নদী দ্বারা বেষ্টিত সাতকানিয়া উপজেলা চট্টগ্রাম জেলা সদর থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
সীতাকুণ্ড মডেল থানা চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত একটি মডেল থানা।
সীতাকুণ্ড থানা গঠিত হয় ১৯৭৯ সালে এবং ১৯৮৩ সালে থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়। এ উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের কিছু অংশ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আকবর শাহ থানার আওতাধীন। সলিমপুর ইউনিয়নের বাকি অংশ ও সীতাকুণ্ড পৌরসভাসহ এ উপজেলার অন্যান্য সকল ইউনিয়ন সীতাকুণ্ড মডেল থানার আওতাধীন। এটি ঢাকা-চট্টগ্রাম জেলার মহাসড়কের দুপাশে এবং চট্টগ্রাম জেলার উত্তরে অবস্থিত। এই উপজেলার মোট আয়তন ৪৮৩.৯৭ বর্গ কিমি। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে অবস্থিত এই উপজেলাকে ঘিরে রয়েছে পাহাড় আর সমুদ্র। সীতাকুণ্ড উপজেলার পশ্চিমাংশ জুড়ে বঙ্গোপসাগর। এ উপজেলায় বহমান কোন নদী নেই।
হাটহাজারী মডেল থানা চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত একটি মডেল থানা।
হাটহাজারী থানা গঠিত হয় ১৯২৯ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে। হাটহাজারী উপজেলার মোট আয়তন ২৪৬.৩২ বর্গ কিলোমিটার (৬০,৮৬৭ একর)। চট্টগ্রাম জেলা সদর থেকে ২০ কিলোমিটার উত্তরেহাটহাজারী উপজেলার অবস্থান। এর পশ্চিমে দীর্ঘ পাহাড়ের সারি ও পূর্বে হালদা নদী বহমান। এ উপজেলার উত্তরে ফটিকছড়ি উপজেলা, পূর্বে ফটিকছড়ি উপজেলা ও রাউজান উপজেলা, দক্ষিণে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের চান্দগাঁও থানা ও বায়েজিদ বোস্তামী থানা এবং পশ্চিমে সীতাকুণ্ড উপজেলা অবস্থিত।
Comments