চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এরিয়া অর্থাৎ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন মোট ১৬টি থানা রয়েছে। এখানে প্রত্যেকটি থানার প্রতিষ্ঠাকাল, আয়তন ও অবস্থান সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা দেয়া হলো।
কোতোয়ালী চট্টগ্রাম জেলার একটি মেট্রোপলিটন থানা।
এটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন। ১৯২২ সালে কোতোয়ালী থানা গঠিত হয়। তবে ১৯৭৮ সালের ৩০ নভেম্বর হাটহাজারী উপজেলার ১টি ওয়ার্ড এবং আরো ৬টি থানার সমন্বয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন গঠিত হয়, তন্মধ্যে কোতোয়ালী থানা অন্যতম। কোতোয়ালী থানার মোট আয়তন ৭.৬৮ বর্গ কিলোমিটার (১,৮৯৮ একর)। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মধ্যভাগে কোতোয়ালী থানার অবস্থান। এর উত্তরে চকবাজার থানা, পূর্বে বাকলিয়া থানা, দক্ষিণে সদরঘাট থানা এবং পশ্চিমে ডবলমুরিং থানা ও খুলশী থানা অবস্থিত।
চান্দগাঁও চট্টগ্রাম জেলার একটি মেট্রোপলিটন থানা।
এটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন। ১৯৭৮ সালের ৩০ নভেম্বর হাটহাজারী উপজেলার ১টি ওয়ার্ড এবং আরো ৬টি মেট্রোপলিটন থানার সমন্বয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন গঠিত হয়, তন্মধ্যে চান্দগাঁও থানা অন্যতম। চান্দগাঁও থানার মোট আয়তন ২৫.৩২ বর্গ কিলোমিটার (৬,২৫৭ একর)। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উত্তর-পূর্বাংশে চান্দগাঁও থানার অবস্থান। এর দক্ষিণে বাকলিয়া থানা; পশ্চিমে চকবাজার থানা, পাঁচলাইশ থানা, বায়েজিদ বোস্তামী থানা ও হাটহাজারী উপজেলার বুড়িশ্চর ইউনিয়ন; উত্তরে হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়ন ও বুড়িশ্চর ইউনিয়ন এবং পূর্বে রাউজান উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়ন, হালদা নদী, রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়ন, কর্ণফুলী নদী, বোয়ালখালী উপজেলার কধুরখীল ইউনিয়ন ও কর্ণফুলী থানা অবস্থিত।
ডবলমুরিং চট্টগ্রাম জেলার একটি মেট্রোপলিটন থানা।
এটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন। ১৯৭৮ সালের ৩০ নভেম্বর হাটহাজারী উপজেলার ১টি ওয়ার্ড এবং আরো ৬টি থানার সমন্বয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন গঠিত হয়, তন্মধ্যে ডবলমুরিং থানা অন্যতম। ডবলমুরিং থানার মোট আয়তন ৮.১২ বর্গ কিলোমিটার (২,০০৬ একর)। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মধ্যভাগে ডবলমুরিং থানার অবস্থান। এর পূর্বে সদরঘাট থানা ও কোতোয়ালী থানা; উত্তরে খুলশী থানা; পশ্চিমে পাহাড়তলী থানা, হালিশহর থানা ও বন্দর থানা এবং দক্ষিণে কর্ণফুলী নদী ও কর্ণফুলী থানা অবস্থিত।
পাহাড়তলী চট্টগ্রাম জেলার একটি মেট্রোপলিটন থানা।
এটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন। ১৯৭৮ সালের ৩০ নভেম্বর হাটহাজারী উপজেলার কিছু অংশ এবং আরো ৬টি মেট্রোপলিটন থানা নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন গঠিত হয়, তন্মধ্যে অন্যতম পাহাড়তলী থানা। পাহাড়তলী থানার আয়তন ১৩.৩১ বর্গ কিলোমিটার (৩,২৮৯ একর)। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উত্তর-পশ্চিমাংশে পাহাড়তলী থানার অবস্থান। এর দক্ষিণে হালিশহর থানা; পূর্বে ডবলমুরিং থানা, খুলশী থানা ও আকবর শাহ থানা; উত্তরে সীতাকুণ্ড উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়ন এবং পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর।
বন্দর চট্টগ্রাম জেলার একটি মেট্রোপলিটন থানা।
এটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন। ১৯৭৮ সালের ৩০ নভেম্বর হাটহাজারী উপজেলার কিছু অংশ ও আরো ৬টি থানা নিয়ে গঠিত হয় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, তন্মধ্যে বন্দর থানা অন্যতম। বন্দর থানার মোট আয়তন ২০.০৪ বর্গ কিলোমিটার (৪,৯৫২ একর)। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পশ্চিমাংশে বন্দর থানার অবস্থান। এর উত্তরে হালিশহর থানা ও ডবলমুরিং থানা; পূর্বে ডবলমুরিং থানা, কর্ণফুলী নদী ও কর্ণফুলী থানা, দক্ষিণে ইপিজেড থানা ও পতেঙ্গা থানা এবং পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর।
পাঁচলাইশ চট্টগ্রাম জেলার একটি মেট্রোপলিটন থানা।
এটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন। ১৯৭৮ সালের ৩০ নভেম্বর হাটহাজারী উপজেলার ১টি ওয়ার্ড এবং আরো ৬টি মেট্রোপলিটন থানা নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন গঠিত হয়, তন্মধ্যে পাঁচলাইশ থানা অন্যতম। ২০০৭ সালে এ থানা পুলিশ রিফর্ম প্রোগ্রাম (পিআরপি)-র আওতায় প্রথম ধাপে মডেল থানা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। পাঁচলাইশ থানার মোট আয়তন ৮.৩০ বর্গ কিলোমিটার (২,০৫১ একর)। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মধ্যভাগে পাঁচলাইশ থানার অবস্থান। এর পূর্বে চান্দগাঁও থানা ও বায়েজিদ বোস্তামী থানা, উত্তরে বায়েজিদ বোস্তামী থানা, পশ্চিমে বায়েজিদ বোস্তামী থানা ও খুলশী থানা এবং দক্ষিণে চকবাজার থানা অবস্থিত।
হালিশহর চট্টগ্রাম জেলার একটি মেট্রোপলিটন থানা।
এটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন। ২০০০ সালের ২৭ মে ডবলমুরিং থানা ও পাহাড়তলী থানার কিছু অংশ নিয়ে হালিশহর থানা গঠিত হয়। হালিশহর থানার আয়তন ৯.৬৪ বর্গ কিলোমিটার (২,৩৮২ একর)। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পশ্চিমাংশে হালিশহর থানার অবস্থান। এর উত্তরে পাহাড়তলী থানা, পূর্বে ডবলমুরিং থানা, দক্ষিণে বন্দর থানা এবং পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর।
বায়েজিদ বোস্তামী চট্টগ্রাম জেলার একটি মেট্রোপলিটন থানা।
এটা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন। বিখ্যাত পারস্যদেশীয় সুফি সাধক হযরত বায়েজিদ বোস্তামীর নামানুসারে এই থানার নামকরণ করা হয়েছে এবং এই সাধকের মাজার এই থানাতেই অবস্থিত। ২০০০ সালের ২৭ মে পাহাড়তলী থানা, পাঁচলাইশ থানা ও হাটহাজারী উপজেলার কিছু অংশ নিয়ে বায়েজিদ বোস্তামী থানা গঠন করা হয়। বায়েজিদ বোস্তামী থানার মোট আয়তন ১৭.৫৮ বর্গ কিলোমিটার (৪,৩৪৪ একর)। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উত্তরাংশে বায়েজিদ বোস্তামী থানার অবস্থান। এর পশ্চিমে সীতাকুণ্ড উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়ন ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের খুলশী থানা, দক্ষিণে খুলশী থানা ও পাঁচলাইশ থানা, পূর্বে চান্দগাঁও থানা ও হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়ন এবং উত্তরে হাটহাজারী উপজেলার চিকনদণ্ডী ইউনিয়ন ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন হাটহাজারী উপজেলার ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ড অবস্থিত।
বাকলিয়া চট্টগ্রাম জেলার একটি মেট্রোপলিটন থানা।
এটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন। ২০০০ সালের ২৭ মে কোতোয়ালী থানা ও চান্দগাঁও থানার কিছু অংশ নিয়ে বাকলিয়া থানা গঠন করা হয়। বাকলিয়া থানার মোট আয়তন ১২.১৩ বর্গ কিলোমিটার (২,৯৯৭ একর)। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পূর্বাংশে কর্ণফুলী নদীর উত্তর-পশ্চিম তীরে বাকলিয়া থানার অবস্থান। এর উত্তরে চান্দগাঁও থানা; পশ্চিমে চকবাজার থানা, কোতোয়ালী থানা ও সদরঘাট থানা এবং দক্ষিণে ও পূর্বে কর্ণফুলী নদী ও কর্ণফুলী থানা অবস্থিত।
পতেঙ্গা চট্টগ্রাম জেলার একটি মেট্রোপলিটন থানা।
এটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন। ২০০০ সালের ২৭ মে বন্দর থানার কিছু অংশ নিয়ে পতেঙ্গা থানা গঠন করা হয়। ২০০৭ সালে এ থানা পুলিশ রিফর্ম প্রোগ্রাম (পিআরপি)-র আওতায় প্রথম ধাপে মডেল থানা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। পতেঙ্গা থানার মোট আয়তন ৩২.৬৫ বর্গ কিলোমিটার (৮,০৬৯ একর)। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে পতেঙ্গা থানার অবস্থান। এর উত্তরে বন্দর থানা ও ইপিজেড থানা; পূর্বে ইপিজেড থানা, কর্ণফুলী নদী ও কর্ণফুলী থানা; দক্ষিণে কর্ণফুলী নদী ও কর্ণফুলী থানা এবং পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর।
খুলশী চট্টগ্রাম জেলার একটি মেট্রোপলিটন থানা।
এটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন। ২০০০ সালের ২৭ মে পাহাড়তলী থানা ও পাঁচলাইশ থানা থেকে কিছু অংশ নিয়ে খুলশী থানা গঠন করা হয়। খুলশী থানার মোট আয়তন ১৩.১২ বর্গ কিলোমিটার (৩,২৪২ একর)। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উত্তর-পশ্চিমাংশে খুলশী থানার অবস্থান। এর পূর্বে কোতোয়ালী থানা, চকবাজার থানা ও পাঁচলাইশ থানা; উত্তরে বায়েজিদ বোস্তামী থানা ও আকবর শাহ থানা; পশ্চিমে আকবর শাহ থানা ও পাহাড়তলী থানা এবং দক্ষিণে ডবলমুরিং থানা অবস্থিত।
কর্ণফুলী চট্টগ্রাম জেলার একটি মেট্রোপলিটন থানা।
এটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন। ২০০০ সালের ২৭ মে বোয়ালখালী উপজেলার ১টি ইউনিয়ন, পটিয়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও আনোয়ারা উপজেলার ১টি ইউনিয়নের আংশিক নিয়ে কর্ণফুলী থানা গঠন করা হয়। কর্ণফুলী থানা কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ-পূর্ব পাশে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বর্ধিত অংশ। এর বিপরীতে কর্ণফুলী নদীর উত্তর-পশ্চিমাংশ জুড়ে রয়েছে যথাক্রমে পতেঙ্গা থানা, ইপিজেড থানা, বন্দর থানা, ডবলমুরিং থানা, সদরঘাট থানা, বাকলিয়া থানা ও চান্দগাঁও থানা; পূর্বে রয়েছে বোয়ালখালী উপজেলা ও পটিয়া উপজেলা; দক্ষিণে আনোয়ারা উপজেলা এবং পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর।
চকবাজার চট্টগ্রাম জেলার একটি মেট্রোপলিটন থানা।
এটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন। চকবাজার প্রথমে ছিল পুলিশ ফাঁড়ি হিসেবে। বর্তমানে এটি থানা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। ২০১৩ সালের ৩০ মে পাঁচলাইশ থানা ও কোতোয়ালী থানার কিছু অংশ নিয়ে চকবাজার থানা গঠন করা হয়। চকবাজার থানার মোট আয়তন ৬ বর্গ কিলোমিটার। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মধ্যভাগে চকবাজার থানার অবস্থান। এর উত্তরে পাঁচলাইশ থানা, পূর্বে চান্দগাঁও থানা ও বাকলিয়া থানা, দক্ষিণে কোতোয়ালী থানা এবং পশ্চিমে খুলশী থানা অবস্থিত।
সদরঘাট চট্টগ্রাম জেলার একটি মেট্রোপলিটন থানা।
এটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন। ২০১৩ সালের ৩০ মে কোতোয়ালী থানা ও ডবলমুরিং থানা থেকে কিছু অংশ নিয়ে সদরঘাট থানা গঠন করা হয়। সদরঘাট থানার মোট আয়তন ৫ বর্গ কিলোমিটার। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মধ্যভাগে সদরঘাট থানার অবস্থান। এর পূর্বে বাকলিয়া থানা, উত্তরে কোতোয়ালী থানা, পশ্চিমে ডবলমুরিং থানা এবং দক্ষিণে কর্ণফুলী নদী ও কর্ণফুলী থানা অবস্থিত।
আকবর শাহ চট্টগ্রাম জেলার একটি মেট্রোপলিটন থানা।
এটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন। ২০১৩ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পাহাড়তলী থানা ও খুলশী থানা থেকে কিছু অংশ নিয়ে আকবর শাহ থানা গঠিত হয়। আকবর শাহ থানার আয়তন ১০ বর্গ কিলোমিটার। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উত্তর-পশ্চিমাংশে আকবর শাহ থানার অবস্থান। এর পশ্চিমে পাহাড়তলী থানা, দক্ষিণে পাহাড়তলী থানা ও খুলশী থানা, পূর্বে খুলশী থানা ও বায়েজিদ বোস্তামী থানা এবং উত্তরে সীতাকুণ্ড উপজেলা অবস্থিত।
ইপিজেড চট্টগ্রাম জেলার একটি মেট্রোপলিটন থানা।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এই থানাটি চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল, চট্টগ্রাম বন্দর ও বেশকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কারণে বিখ্যাত। ২০১৩ সালের ৩০ মে বন্দর ও পতেঙ্গা থানা থেকে কিছু অংশ নিয়ে ইপিজেড থানা গঠন করা হয়। ইপিজেড থানার মোট আয়তন ৯.৮২ বর্গ কিলোমিটার। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে ইপিজেড থানার অবস্থান। এর উত্তরে বন্দর থানা, পূর্বে কর্ণফুলী নদী ও কর্ণফুলী থানা এবং দক্ষিণে ও পশ্চিমে পতেঙ্গা থানা অবস্থিত।
Comments