বায়েজিদ লিংক রোড চট্টগ্রামের প্রথম বাইপাস রোড। এটির মাধ্যমে ঢাকা থেকে আসা যানবাহন শহরে প্রবেশ না করেই রাঙ্গামাটি-রাউজান-কাপ্তাই-রাঙ্গুনিয়ায় যেতে পারবে। সড়কটি ফৌজদারহাট থেকে শুরু হয়ে শেরশাহ এলাকায় শেষ হয়েছে। এই সড়কের দৈর্ঘ্য ৬ কিলোমিটার।
বায়েজিদ লিংক রোড নির্মাণ করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। ৬ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করতে ১৮ টি পাহাড় কাটা হয়েছে। পাহাড় কাটার জন্য ২০১৭ সালে সিডিএকে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। পরিবেশ অধিদপ্তর সিডিএ কে ২৬ ডিগ্রি কোণ করে পাহাড় কাটতে বললেও তারা ৯০ ডিগ্রি কোণে পাহাড় কেটেছে। ফলে যেকোন সময় ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।
ফৌজদারহাট থেকে বায়েজিদ পর্যন্ত বিস্তৃত এই সড়কের নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয়া হয় ১৯৯৭ সালে। ১৯৯৯ সালে একনেকে প্রকল্পটি পাশ হয়। তখন এর নির্মাণ ব্যয় ছিল ৩৩ কোটি ৮১ লক্ষ টাকা। ২০০৪ সালে ৫৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। সড়কটির কাজ শুরু হয় ফৌজদারহাট থেকে। প্রথমদিকেই রেলওয়ে ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হয়। কিছু কাজও আগায়। ঠিক একই সময়ে এশিয়ান উইম্যান ইউনিভার্সিটিকেও একই জায়গায় নিজেদের ক্যাম্পাসের জন্য জমি বরাদ্দ দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপত্তি তোলে। ফলে রাস্তা নির্মাণের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পুরো প্রকল্পটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। এভাবে চলার পর পুনরায় সরকারের কাছে এই রাস্তাটির গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। প্রকল্পটি পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে বিরোধের সমাধান করা না যাওয়ায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তাদের ক্যাম্পাসের জায়গায় পড়ে যাওয়া রাস্তাটি তাদের কাছে ছেড়ে দেয়া হবে। নতুন করে হাতে নেয়া প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ২১০ কোটি টাকা। ২০১৫ সালে স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডকে সড়কটি নির্মাণের আদেশ দেয়া হয়। পরবর্তীতে খরচ কমিয়ে তা ১৭২ কোটি টাকায় করা হয়। কিন্তু নানা জটিলতায় খরচ ৩২০ কোটি টাকায় গিয়ে থামে। ২০২০ সালে এসে প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ হয়ে আসে। গাড়ি চলাচলের জন্য তা খুলে দেয়া হয়।
এই সড়ক সম্পর্কে আপনাদের কাছে আরো বেশি তথ্য থাকলে আমাদেরকে কমেন্টে জানান।
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!
Comments