চট্টগ্রাম শহরের হালিশহর থানার অন্তর্গত ব্যস্ততম এলাকা বড়পোল মোড়। বৃটিশ আমলে হালিশহরের সাথে চৌমুহনীর সংযোগ ঘটাতে দুটো পোল নির্মাণ করা হয়। একটি ছোট ছিলো বলে অন্যটি বড়পোল নামে জনপ্রিয়তা পায়। সেখান থেকেই লোকমুখে এই এলাকার নাম বড়পোল।
পোর্ট কানেক্টিং রোডে অবস্থিত এই মোড়ে রয়েছে দূরপাল্লার বাস কাউন্টার, মেডিকেল সেন্টার, ব্যাংক, রেস্তোরাঁ, জীমসহ অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের শোরুম।
বাটা, এপেক্স, লোটো, ভাইব্রেন্ট, আড়ং, স্বদেশ পল্লী, বাটারফ্লাই, সনি র্যাংগস, সিঙ্গার, ওয়ালটন সহ দেশের সকল ইলেক্ট্রনকিস পণ্যের শোরুম এখানে রয়েছে।
বাংলা, ইন্ডিয়ান, চাইনিজ খাবারের রেস্তোরাঁও রয়েছে এখানে।
প্রায় সকল ব্যাংকের শাখা বা এটিএম বুথ আছে এখানে। তারমধ্যে ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড, এবি ব্যাংক লিমিটেড, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড, এন সি সি ব্যাংক লিমিটেড, ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, শাহজাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, ইস্টার্ণ ব্যাংক লিমিটেড, ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, সিটি ব্যাংক লিমিটেড, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের অন্যতম।
বড়পোল কাঁচাবাজার ঐতিহাসিক বড়পোলের কাছাকাছি হলেও এখন অনেক বড় এলাকা জুড়ে এই এলাকার নাম ছড়িয়ে পড়েছে। এর উত্তর দিকে নগরীর হালিশহর হাউজিং এস্টেট তথা ঢাকার রাস্তা , দক্ষিণ দিকে নিমতলী বিশ্ব রোড, পশ্চিম দিকে চৌচালা সৈকত, এবং পূর্ব দিকে সিডিএ আবাসিক এলাকা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে নগরের হালিশহর বড়পোল মোড়ে নির্মিত হয়েছে ‘বজ্রকণ্ঠ’ ভাস্কর্য। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ৮৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা ব্যয়ে বেইজসহ (বেদি) ২৬ ফুট উঁচু ভাস্কর্যটি স্থাপন করেছে। মূল ভাস্কর্যের উচ্চতা ২২ ফুট। সাদা সিমেন্টের (আরসিসি) ঢালাইয়ের মাধ্যমে ভাস্কর্যটির স্থায়ী রূপ দেওয়া হয়, যার ওজন প্রায় ৩০ টন। এর আগে প্রায় ৪ মাস ধরে মাটি (মডেলিং ক্লে) দিয়ে মূল ভাস্কর্যের আদলটি তৈরি করা হয়েছিল।
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!
Comments