আগ্রাবাদ ডবলমুরিং থানার সিডান, ক্যাডেস্ট্রাল ও রিভিশন জরিপ পরিমিত একটি মৌজা । ভারতের আগ্রা শহরের নামের স্মারকরূপে ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ মৌজার নামকরণ হয়েছে।
এখানে স্মরণীয় যে ১৬৬৫ খ্রিষ্টাব্দে চট্টগ্রাম মোগল সাম্রাজ্যভুক্ত হওয়ার পর মোগল সেনাবাহিনীর হিন্দু-মুসলমান সৈনিকদের অধিকাংশ চট্টগ্রামে বসতি স্থাপন করে। সম্ভবত তখন আগ্রাবাদি কোনো মোগল বাহিনীর সৈনিক এই স্থানে প্রথম বসতি স্থাপন করে নিজ জন্মভূমির স্মারকরূপে এই এলাকার আগ্রাবাদ নামকরণ করে।
দেশ বিভাগের কালে আগ্রাবাদ ছিল একটি গণ্ডগ্রাম। পাকিস্তান আমলে আগ্রাবাদ আধুনিক শহরে রূপান্তরিত হয়। বর্তমানে আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা ।
আগ্রাবাদ আবাসিক এলাকা : দেশ বিভাগের পূর্বযুগে আগ্রাবাদ সি.ডি.এ. আবাসিক এলাকাটি ছিল ধানি জমি, সেখানে চাষাবাদ হতো। স্থানটি ডাকাইত্যা বিল নামে খ্যাত ছিল। সেখানকার বিজন প্রান্তরে ডাকাতি হতো বলে এর নাম হয় ডাকাইত্যা বিল।
পাকিস্তান আমলে সেখানে সি.ডি.এ. আবাসিক এলাকা নামে একটি অভিজাত আবাসিক এলাকা স্থাপিত হয়েছে।
জাতিতাত্ত্বিক যাদুঘর : আগ্রাবাদে জাতিতাত্ত্বিক যাদুঘর অবস্থিত। রেডিও স্টেশন : আগ্রাবাদে বাংলাদেশের রেডিও চট্টগ্রাম শাখা অবস্থিত ।
জাম্বুরি মাঠ : আগ্রাবাদ সি.ডি.এ. আবাসিক এলাকার দক্ষিণ পার্শ্বে জাম্বুরি মাঠ অবস্থিত। পাকিস্তান আমলে এখানে একবার স্কাউট জাম্বুরি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তারই স্মারকরূপে এই মাঠটি জাম্বুরি মাঠ নামে খ্যাত হয়।
আগ্রাবাদ সরকারি এলাকা : আগ্রাবাদ সরকারি এলাকায় বাংলাদেশ সরকারের দপ্তর ও সরকারি কর্মচারীদের আবাসিক এলাকা অবস্থিত। পাকিস্তান আমলে এখানে কেন্দ্রীয় সরকারের দপ্তরসমূহ অবস্থিত ছিল
আগ্রাবাদ ঢেবা : আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকার দক্ষিণ পার্শ্বে আগ্রাবাদ ঢেবা অবস্থিত। মোট ৭২ একর পরিমাণ জমির মধ্যে এই ঢেবাটি খনন করা হয়। পানিপূর্ণ এলাকার পরিমাণ ২৭ একর। এটা প্রাকৃতিক ঢেবা নয়। অন্যত্র মাটি নেয়ার ফলে এই ঢেবার সৃষ্টি ।
আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা : আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকায় দেশী ও বিদেশী বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানসমূহ অবস্থিত। এখানে হোটেল আগ্রাবাদ অবস্থিত।
আনন্দীপুর : ডবলমুরিং থানার সিডান ও ক্যাডেস্টাল জরিপ পরিমিত একটি মৌজা । ১৯৩০ সালের রিভিশন জরিপে আনন্দী মৌজার নাম বিলুপ্ত করে আগ্রাবাদ মৌজার সাথে যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
১. জুরিসডিকশন লিস্ট অফ দ্য ডিস্ট্রিক্ট চিটাগাং ১৯৩০, থানা ডবলমুরিং, মৌজা নং ১১
২. ফজলুল হক মুনশি, আলকরণ, চট্টগ্রাম
৩. বন্দর শহর চট্টগ্রাম, আবদুল হক চৌধুরী
Comments